Wednesday - 2 April, 2025 +10 344 123 64 77

Tuesday, March 09, 2010

স্মৃতিবিভ্রাট



অনেক দিনের পুরোন বন্ধুর সাথে হঠাৎ দেখা দুজনে হারিয়ে গেলেন পুরোন দিনের স্মৃতিতে। কিন্তু একি কিছুতেই মনে করতে পারছেন না আপনার বন্ধুটির নাম।স্মৃতির পাতা হাতরে ও নাম পেতেপেতেও হারিয়ে ফেলছেন। এরকম স্মৃতিভ্রান্তি সবারই কখন না কখন ঘটেছে। এ ক্ষেএে শব্দটি মনে না পরার কারণ শব্দটির অর্থ না জানা নয় বরং এক্ষেএে প্রধান ভূমিকা পালন করে শব্দের উচ্চারণ। যদিও কোনো শব্দ বা নামের উচ্চারণের কোনো সুনির্দষ্ট নিয়ম নেই এবং ততটা গুরুত্বপূর্ণও নয়, তবুও শুধু উচ্চারণ সমস্যার কারনে কোনো শব্দ বা নাম প্রয়োজনের সময় মনে পড়াটা কঠিন হয়ে যায়।
এ সমস্যা থেকে উওরণের জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো কোন ব্যক্তি বা বস্তুর নাম বার বার উচ্চারন করা। এ প্রসঙ্গে লস অ্যাঞ্ছেলস বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী জেলিনস্কি বলেন,’ রোগীদের বলি যখন তারা কারও সাথে দেখা করেন তখন যেন তার নামটা যত বেশি সম্ভব উচ্চারন করেন’।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যখন কেউ কোন ব্যক্তির নাম মনে করতে চাচ্ছে কিন্তু ঔ নাম মনে না এসে কাছাকাছি উচ্চারণের অন্য কোনো নাম মাথায় ঘুড়পাক খেতে থাকে। এ প্রসঙ্গে মনোবিজ্ঞানী বার্ক বলেন যে,’ এসব ক্ষেএে তালগোল পাকানো নামটি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ’। বার্ক আরো বলেন যে,’ যখন এটা নিয়ে চিন্তা করা বাদ দেবেন নামটি আপনাআপনি মনে পরবে।


মাঝে মধ্যে আমরা জিনিস কোথাও রেখে আর মনে করতে পারিনা এসবই অমনোযোগীতার ফল। সাধারনত কোন কাজ গভীর মনোযোগ দিয়ে করলে তা সহজে মনে থাকে।যখন ঠিক মত মন দিয়ে কাজটা করা হয় না তখনই সমস্যা। যেমন কেউ হয়তবা তার বই ব্যাগে রেখেছে কিন্তু এখন তা টেবিলের উপর। কিন্তু বই রাখার সময় অন্য কোন কাজে মন দেয়ায় বই রাখার কথা ভুলে গেছে ফলে বই খুঁজতে সমস্যা হচ্ছে।
এক্ষেএে স্মৃতি কিন্তু সমস্যা নয় মানুষের মষ্তিষ্ক প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে অসমর্থ হচ্ছে। কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহের অভাবও কিন্তু স্মৃতিভ্রান্তির কারন।এমনও মানুষ আছে যে অনেক দিন আগে পড়া বইয়ের গল্প হুবহু বলতে পারেন কিন্তু ছোট খাটো কাজ করতে ভুলে যান।শুধু আগ্রহের অভাবই এর জন্য দায়ী। তবে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় স্মৃতিভ্রান্তিতে কম ভোগে। কারন পারিপার্শ্বিক পরিবেশে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা অধিক মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করে।

কোন কিছু মনে রাখার অন্যতম উপায় হলো সহজে দেখা যায় এরকম কোন চিহ্ন ব্যবহার করা। যেমনঃ দরকারি ফোন নম্বর গুলো কাগজে লিখে টেলিফোনের সামনে টাঙ্গানো। আবার রাতে খাওয়া পর আপনাকে ঔষধ খেতে হয় তাই ঔষধ প্যাকেটে না রেখে খাওয়া টেবিলে রাখলে সহজে মনে থাকবে।

এতক্ষন যে সব স্মৃতিভ্রান্তির কথা বলা হল, এগুলো কিন্তু একটা ভাল দিক আছে। আমাদের মষ্তিষ্ক যদি সব কিছু ধারন করতে চায় তবে তা মষ্তিষ্কের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে যেত। তাই মষ্তিষ্ক প্রয়োজনীয় স্মৃতিগুলো রেখে অপ্রয়োজনীয় গুলো ফেলে দেয়।স্মৃতিভ্রান্তি হয় তবা আমাদের ভালর জন্যই হচ্ছে।

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির কৌশলঃ  
কফিঃ আপনি যদি এমন কোন কাজ করতে থাকেন, যার জন্য পুরোনো স্মৃতি হাতরানো প্রয়োজন, তবে এক কাপ কফি খেয়ে নিন।
ঘুমঃ অতিরিক্ত ঘুম যেমন স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ তেমনি কম ঘুমানো ও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভাল না। কাজেই স্মরণশক্তি ঠিক রাখার জন্য নিয়িমত ও পরিমিত ঘুমানো উচিত।
ব্যায়ামঃ স্মরণশক্তি ঠিক রাখার জন্য ব্যায়াম খুব গুরুত্বপূর্ন। যারা নিয়িমত ব্যায়াম করে তাদের স্মরণশক্তি অন্যদের তুলনায় বেশি
স্মরণশক্তি  ঠিক রাখার আরো অনেক কৌশল রয়েছে কিন্তু উপরের উপায় গুলো সহজ সবাই করতে পারে।

সংগ্রহীতঃ প্রথমআলো

0 comments:

Post a Comment