Wednesday - 2 April, 2025 +10 344 123 64 77

Wednesday, March 10, 2010

প্রকৃতির এক অনন্য উপহার ঔষধিগাছ --নিম



উদ্ভিদের নাম: নীম
স্থানীয় নাম: নীম
বৈজ্ঞানিক নাম: Azadirachta indica A. juss.
পরিবার: Meliacea
ইংরেজি নাম: Neem
নিম একটি ঔষধি গাছ, বৈজ্ঞানিক নাম(AZADIRACHTA INDICA) এর ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে নিম ৩০-৫০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চিরহরিৎ গাছডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতায় ১০-১৭ টি করে কিনারা খাঁজকাটা পত্রক থাকে পাতা .- ইঞ্চি লম্বা হয়এর কান্ড ২০-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারেপ্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে ১০ বছর। নীম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভাল হয়।  
মাটির পিওএই .-. এবং বৃষ্টিপাত ১৮-৪৬ ইঞ্চি ১২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিম গাছের জন্য উপযোগী। নিমের এই গুনাগুনের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাএকুশ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষনা করেছে   বাংলাদেশের সবত্রই জন্মে তবে উত্তরাঞ্চলে বেশি দেখা যায় এর আদি নিবাস মিয়ানমার জুন-জুলাইতে ফল পাকে, ফল তেতো স্বাদের পোকার আক্রমন ঠেকাতে নিমের ব্যবহার হয় নিমের কাঠ কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহার হয়
ব্যবহার্য অংশ: পাতা, ফল, ছাল বা বাকল, নিমের তেল,বীজ। এক কথায় নিমের সমস্ত অংশ ব্যবহার করা যায়
নিমের ঔষধিগুণাগুন
1.     নিম একটি স্বীকৃত ঔষধিগাছ। বসন্ত রোপে, চুলকানি, চর্মরোগ, দাঁতের সমস্যা প্রভৃতির জন্য নিম ব্যবহার হয়।
2.     নিমের তেল, বালাইনাশক ফসলের পোকাদমনে ব্যবহার হয়
3.     দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় নিমের মাজন বা পেস্ট প্রচুর ব্যবহার হয়
4.     নিম ছত্রাকনাশক হিসেবে, ব্যাকটেরিয়া রোধক হিসেবে ভাইরাসরোধক হিসেবে, কীট-পতঙ্গ বিনাশে চ্যাগাস রোধ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়।
5.     ম্যালেরিয়া নিরাময়ে,দন্ত চিকিতসায় ব্যাথামুক্তি জ্বর কমাতে, জন্ম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়
নিমের ব্যবহার: 
কফজনিত বুকের ব্যথা: অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রশ সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিতে / বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী,শিশু বৃদ্ধদের জন্য ঔষধটি নিষেধ
কৃমি: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিন বার সামান্য পানি গরমসহ খেতে হবে। 

উকুন নাশ: নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগান। ঘন্টা খানেক ধরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। / দিন এভাবে লাগালে উকুন মরে যাবে। 
অজীর্ণ: অনেকদিন ধরে পেটে অসুখ। পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস, সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল- বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে। 
খোস পাচড়া: নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। 
পোকা-মাকড়ের কামড়: পোকা মাকড় কামল দিলে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।
 দাতের রোগ: নিমের পাতা ছালের গুড়া কিংবা নিমের চাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাত হবে মজবুত, রক্ষা পাবে রোগ। 
জন্ম নিয়ন্ত্রণে নিম:নিম তেলা একটি শক্তিশালী শ্রক্রানুনাশক হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, নিম তেল মহিলাদের জন্য নতুন ধরনের কার্যকরী গর্ভনিরোধক তে পারে। এটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রানু মেরে ফেলতে সক্ষম
নিম চাষে আয়: একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গাছে ৫০-৬০ কেজি ফল পাওয়া যায় যার বাজার মুল্য প্রায়৫ হাজার টাকা। এছাড়াও একটি পুর্ণবয়স্ক গাছ এককালিণ ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা য়ায়। মাত্র দুটি প্রাপ্তবয়স্ক নিম গাছ থেকে বছরে গড়ে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এছাড়াও এক একরে বাণিজ্যিক নিম বাষে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব

0 comments:

Post a Comment